শৌচাগারে রক্তের দাগ কেন? স্কুলেই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলিয়ে ঋতুস্রাব পরীক্ষা প্রিন্সিপালের
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে।

প্রতীকী ছবি।
প্রথম আলো ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুমতী ছাত্রীদের চিহ্নিত করার জন্য জোর করে অন্তর্বাস খোলাল স্কুল কর্তৃপক্ষ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে। জানা গিয়েছে, স্কুলের বাথরুমে কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তারপর স্কুলের প্রিন্সিপাল সিদ্ধান্ত নেন, কোন ছাত্রীর ঋতুস্রাব হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তারপরেই বহু ছাত্রীকে জোর করে অন্তর্বাস খোলানো হয়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঠানের শাহাপুরের ডি এস দামানি স্কুলে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার স্কুলের বাথরুমে রক্তের ফোঁটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের তলব করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের মধ্যে কেউ ঋতুমতী কিনা। এখানেই শেষ নয়। ছাত্রীদের অনেককে বাধ্য করা হয় অন্তর্বাস খোলার জন্য। তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা তা পরীক্ষা করতে অন্তর্বাস খোলার নির্দেশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ স্বয়ং।
আরও পড়ুন:
তৈরি হয়েছিল বিদেশি চিহ্নিত করতে, সেই আধারকে হাতিয়ার করেই ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারীরা?
পাইলটের ভুলেই দুর্ঘটনা? আহমেদাবাদ কাণ্ডে তদন্তকারীদের নজরে বিমানের ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’
গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্রীরা। স্কুল থেকে ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে তারা। সমস্ত বিষয়টি শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, “ঋতুস্রাব খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু সেই বিষয়ে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া তো দূর, ছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ বাড়াচ্ছেন প্রিন্সিপাল।”
আরও পড়ুন:
ঠাকুমাকে ধর্ষণের অভিযোগ বছর পঁচিশের নাতির বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার যুবক
লাগবে ১০০ সাংসদের স্বাক্ষর, বাদল অধিবেশনেই অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারণে প্রস্তাব?
তিনি আরও বলেন, স্কুলের প্রিন্সিপালের এমন আচরণ অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক। তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। ইতিমধ্যেই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে স্কুলেই যদি এভাবে হেনস্তার মধ্যে পড়তে হয়, তাহলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।
প্রথম আলো ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুমতী ছাত্রীদের চিহ্নিত করার জন্য জোর করে অন্তর্বাস খোলাল স্কুল কর্তৃপক্ষ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে। জানা গিয়েছে, স্কুলের বাথরুমে কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তারপর স্কুলের প্রিন্সিপাল সিদ্ধান্ত নেন, কোন ছাত্রীর ঋতুস্রাব হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তারপরেই বহু ছাত্রীকে জোর করে অন্তর্বাস খোলানো হয়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঠানের শাহাপুরের ডি এস দামানি স্কুলে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার স্কুলের বাথরুমে রক্তের ফোঁটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের তলব করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের মধ্যে কেউ ঋতুমতী কিনা। এখানেই শেষ নয়। ছাত্রীদের অনেককে বাধ্য করা হয় অন্তর্বাস খোলার জন্য। তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা তা পরীক্ষা করতে অন্তর্বাস খোলার নির্দেশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ স্বয়ং।
আরও পড়ুন:


গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্রীরা। স্কুল থেকে ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে তারা। সমস্ত বিষয়টি শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, “ঋতুস্রাব খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু সেই বিষয়ে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া তো দূর, ছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ বাড়াচ্ছেন প্রিন্সিপাল।”
আরও পড়ুন:


তিনি আরও বলেন, স্কুলের প্রিন্সিপালের এমন আচরণ অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক। তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। ইতিমধ্যেই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে স্কুলেই যদি এভাবে হেনস্তার মধ্যে পড়তে হয়, তাহলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।
0 মন্তব্যসমূহ