
প্রথম আলো ওয়েবডেস্কঃ প্রতিদিন ক্লান্ত বোধ করেন এবং চোখের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না? এমন পরিস্থিতিতে সস্তার অবহেলিত ফল সবেদা খাওয়া শুরু করুন। এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিলার এবং ফাইবার শরীরে রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
সবেদাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় এবং এটি চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গ্লুকোজ পাওয়া যায় যা শরীরে শক্তি যোগাতে কাজ করে। যারা প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাদের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই তাদের প্রতিদিন সবেদা খাওয়া উচিত। সবেদাতে ভিটামিন এ এবং বি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা দেয়।
হাড় মজবুত করতে চান, তাহলে আজ থেকেই সবেদা খাওয়া শুরু করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন রয়েছে যা হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়।
সবেদা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায়। এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
সবেদাতে অনেক অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা ব্যাক্টেরিয়াকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এই ফলটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
সর্দি এবং কাশির জন্য একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী কাশি থেকেও মুক্তি দেয়।
এই ফলের বীজ পিষে খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনির পাথর দূর হয়। এছাড়া, এটি কিডনির রোগ থেকেও রক্ষা করে।
এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় সবেদা খেতে পারলে ভালো। এতে বমি বমি ভাব কেটে যায়। সবেদাতে থাকা ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ উপাদান শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
সবেদাতে থাকা ট্যানিন উপাদান প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি –ইনফ্ল্যামেটরী হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত এটি খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। হজমপদ্ধতি ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে কোষ্টকাঠিন্য কমায়।
0 মন্তব্যসমূহ